বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় ৬টি পিস্তল সহ ইসরায়েলি নাগরিক আটক: দেশজুড়ে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিনতাইকালে ধরা পড়া দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে! ২৮ মার্চ জেলা ইসলামী আন্দোলন ইফতার মাহফিল হোটেল অস্টারইকো তে। মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোস্তাফিজ ও বাবুল মিয়ানমারের গ্যং স্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়! সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে প্রবেশের অপেক্ষায়! হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
ভিসার বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক: ফখরুল

ভিসার বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক: ফখরুল

টেকনাফ নিউজ২৪ ডেস্ক ::

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধের জন্য এককভাবে সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের প্রাপ্য নয়। এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী। শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসাবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।

বিরোধী দলের সদস্যদের ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধের যে কথা বলেছে, এ নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় বলে বিএনপি নেতারা বলছেন। এর কারণ হিসাবে তারা বলেন, সরকারের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের জন্যই এটি চিন্তার বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, এমনটা বিএনপি মনে করছে কি না-এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। আর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখব।

এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকা অবস্থায় দেশটি ভিসানীতির কার্যক্রম চালু করেছে। কেন করেছে? কারণ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। ভোটের অধিকার নেই। আর এ কারণে আমেরিকা আগে স্যাংশন দিয়েছিল, এখন ভিসানীতি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন, তত ভালো হবে। দেশের মানুষ চায় আপনি পদত্যাগ করুন। যদি না করেন, তাহলে দেশের মানুষ বাধ্য করবে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে। অক্টোবর হবে জালিম পতনের মাস। অক্টোবরেই সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সবকিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana